খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে বাঁকুড়াজুড়ে শাসক দলের অন্দরে মাথাচাড়া দিচ্ছে গোষ্ঠীকোন্দল। সিমলাপাল, ইন্দপুর, ওন্দার পর এবার বিষ্ণুপুর ব্লকের অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ওই পঞ্চায়েতেরই উপপ্রধান সহ দলীয় সদস্যদের একাংশ। বুধবার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল পরিচালিত অযোধ্যা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের এই অভিযোগের জেরে জেলা তৃণমূলের নেতারা অস্বস্তিতে পড়েন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারই এই বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত ওন্দা ব্লকে খোদ দলেরই ব্লক সভাপতি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অরুপ খাঁয়ের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অঞ্চল সভাপতিদের পরবর্তন করার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। অযোধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদ্রোহী গ্রাম সদস্যদের মধ্যে পঞ্চায়েতের সদস্য শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অযোধ্যা পঞ্চায়েতের প্রধান গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পঞ্চদশ পরিকল্পনা খাতে ২২ লক্ষ টাকার বেশি বরাদ্দ পেয়েছেন।
দীর্ঘদিন তিনি সেই টাকা খরচ না করেই ফেলে রেখেছিলেন। রাজ্যের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১ লক্ষ ও তার বেশি টাকা খরচের জন্য ই-টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ হাতে পেতেই ওই প্রধান তড়িঘড়ি অন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের না জানিয়েই নিজের ঘনিষ্ঠ কিছু ঠিকাদারকে এলাকা উন্নয়নের একাধিক টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সবকটি টেন্ডারই ‘ব্যাকডেটেড’। উপপ্রধান সহ অন্য সদস্যরা তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন।
তাঁরা প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিডিওকে। এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি প্রধান গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনিক আধিকারিককে বিষয়টি জানান হয়েছে। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাহলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।” বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্লেশ্বর সিংহ বলেন, “তৃণমূল দলটাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে। মহকুমা শাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন, “বিডিওর কাছে অভিযোগ হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”