খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: বুথগুলিকে দুর্গ বানান, পুলিশ ভোট লুঠ করাতে এলে ভোট বাক্স পুকুরে ফেলে দিন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের অক্সিজেন জোগাতে এমনই মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কারণ নন্দীগ্রামের বিধায়ক মনে করেন, এবারের পঞ্চায়েত ভোট রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ‘ডু অর ডাই’-এর লড়াই।
শুক্রবার বাঁকুড়ার বড়জোড়া কলেজ ময়দানে দলীয় কর্মসূচিতে রাজ্যে আবাস প্লাস, শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগার পাশাপাশি নয়া প্রকল্প দিদির দূতকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দুবাবু। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “এবার প্রতিটি বিডিও অফিসে আমাদের দলের বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদরা দাঁড়িয়ে থেকে আপনাদের মনোনয়ন জমা শুভেন্দুবাবুর কথায়, “পঞ্চায়েত করাবেন।”
ব্যবস্থায় মানুষের উন্নয়ন করা যায়। জাতীয় সড়ক ছাড়া সব কাজ পঞ্চায়েত করে। মিডডে মিল ঠিক চলছে কি না, শিশুশিক্ষা কেন্দ্র ঠিক চলছে কি না তা দেখার দায়িত্বও পঞ্চায়েতেরই।” এদিন রাজ্যের নয়া প্রকল্প দিদির দূতকে কটাক্ষ করে বিজেপি বিধায়কের তোপ, “ভূত তাড়াতে হবে তো। আসছে দিদির ‘দূত’। ওরা সব ‘ভূত।” শুধু এই নয়, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি এদিনও কয়লা ও গরু পাচারের প্রসঙ্গ তোলেন।
নন্দীগ্রামের বিধায়কের ঘোষণা, “২০২৩ সালেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রেশনে চাল পাবেন।” পাশপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কোনও উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করাতে পারব না। তাই বঞ্চিতদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য জনস্বার্থ মামলা করব। যে বড়লোকদের নাম আবাস প্লাসের তালিকায় রয়েছে তাঁদের নাম আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। কীভাবে টাকা ফেরত দেওয়াতে হয়, তা আমরা জানি।” এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্লেশ্বর সিংহ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-সহ বিজেপির অন্য জনপ্রতিনিধিরা।