খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: শ্রাদ্ধের ভোজ খেয়ে অসুস্থ গোটা গ্রাম। তাঁদের মধ্যে শিশু-সহ ৪০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মহম্মদবাজার থানার চৌবাট্টা গ্রামে। রবিবার রাত থেকে গ্রামবাসীরা অসুস্থ হতে থাকেন। সোমবার গ্রামে যায় একটি মেডিক্যাল টিম।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। ভোজ খেয়ে প্রায় দুশো জন আক্রান্ত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।” উল্লেখ্য, ২৫ বছর আগে চৌবাট্টা গ্রামে সন্তোষ সোরেনের বাবার মৃত্যু হয়। আদিবাসী নিয়ম অনুসারে পরিবারের সামর্থ হলে তবেই পারলৌকিক ক্রিয়া হয়।
সেই মতো সন্তোষ সোরেনের রবিবার পরিচিতদের শ্রাদ্ধের ভোজে নিমন্ত্রণ জানায়। আদিবাসীদের জন্য নিজের বাড়িতে খাওয়ার আয়োজন। বাকি সাধারণদের জন্য বাড়ির থেকে কিছুটা দূরে রান্নার ব্যবস্থা করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দুটি জায়গাতেই যাঁরা ভোজ খেয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই পেটের রোগ সঙ্গে বমির উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
রবিবার রাতেই ৩৭ জনকে কাছের মল্লারপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। যাঁদের মধ্যে ২৭ জন শিশু ছিল। রাতে তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে, সোমবার সকালে মেডিক্যাল টিম ও মহম্মদবাজার থানার ওসি গ্রামে যান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন তিনজনের পরিস্থিতি খারাপ দেখা দিলে তাঁদের মহম্মদবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। হিমাদ্রি আড়ি জানান, গ্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাথমিক ধারনা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় জেরে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশকয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গ্রামবাসীদের দাবি,বিষক্রিয়া হলে দু’জায়গায় কী করে একইসঙ্গে বিষক্রিয়া হল। তাঁদের অনুমান, মশলা থেকে এই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সন্তোষ সোরেন বলেন, “আমি তো সাধারণের জন্য মশলা ও অন্যান্য সামগ্রী কিনে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। তবু কী করে হল জানি না।”