খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: বাড়িতে ছেলে না থাকার সুযোগে নিজের স্ত্রী গঙ্গাশ্বরী মণ্ডলকে (৪৫) চাকু দিয়ে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী প্রদীপ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে নলহাটি থানার ভদ্রপুর গ্রামে। নলহাটি থানার পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। মৃতার ছেলে নাবালক প্রদ্যুত মন্ডল তার মা কে খুনের দায়ে বাবার কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।
নলহাটি ১ ব্লকের মকরমপুরের বাসিন্দা প্রদীপ মন্ডল। বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদের জেরে তারা নলহাটি দুই ব্লকের ভদ্রপুরে এসে বসবাস করতেন। অভিযুক্ত প্রদীপের মা কমলা মন্ডল জানান, আমরা দু জনকে কত বুজিয়েছি। বাড়িতে আর অশান্তি ভাল লাগছিল না তাই ওদের আলাদা করে দিয়েছি। শেষে এই পরিণতি দেখতে হল। প্রতিবেশীরা জানান, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া লেগে থাকত।
গত আড়াই বছর ধরে এই একই অশান্তি রোজ চলছে। যার জেরে গত দুই মাস থেকে একই ছাদের তলায় থাকলেও ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকত স্ত্রী। দু জনে আলাদা করে রান্না করত। শনিবার সকালে নিজের ঘরেই গলা কাটা অবস্থায় গঙ্গাশ্বরী মন্ডলকে তার নিজের বিছানায় পরে থাকতে দেখে ছেলেকে খবর দেয়। কারন দু দিন বাড়িতে ছিল না ছেলে। ছেলে প্রদ্যুত মন্ডল জানায় গত বৃহস্পতিবার বন্ধুর দিদির বাড়ি নতুন গ্রামে রথ দেখতে গিয়েছিল সে।
সোমবার সকালেই পাশের বাড়ি থেকে ফোন করে জানায় মা অসুস্থ। তাড়াতাড়ি চলে আসতে। এসে দেখি বিছানা রক্তে ভিজে। বাবা মাকে রাত্রে চাকু দিয়ে গলা কেটে খুন করেছে। প্রদ্যুত জানায় বাবা মায়ের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়েই ঝামেলা লেগে থাকত।
গত দু মাস আমি আর মা আলাদা করে রান্না করে খেতাম। খুনের অভিযোগ পেয়ে সকালে লোহাপুর ফাঁড়ির পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তবে খুন করার চাকুটি উদ্ধার করতে পারেনি।