খড়গপুর ২৪×৭: ভোটের চতুর্থ দফায় সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা কোচবিহারে। শীতলকুচির পর এবার উত্তেজনা মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের জোড়পাটকিতে। অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ যুবকের। তৃণমূলের দাবি ওই চারজনই তাঁদের সমর্থক। অন্যদিকে বাহিনীর দাবি, হঠাৎই ৩০০-৪০০ লোক ঘিরে ধরে। দু-পক্ষের ঝামেলা থামাতে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ১ জনের। বাকি ৩ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওযা হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয় বলে খবর। সূত্রের খবর, মৃত ওই ৪ ব্যক্তিদের নাম মনিরুজ জামান, হামিদুল মিয়া, চামিনুল হক, নূর আলম মিঞা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন করেন সুদীপ জৈন। কোন পরিস্থিতিতে পুলিসকে গুলি চালাতে হল জানতে চাইলেন তিনি।
উল্লেখ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী সকাল থেকে কোচবিহারে সবমিলিয়ে ভোটের বলি ৫ জন। এ দিন সকালেই শীতলকুচিতে উত্তেজনা ছড়ায়। সকালে তৃণমূল কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ওঠে। বোমা-বন্দুক নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন আক্রান্তরা। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শীতলকুচি বিধানসভার পাগলাপীর এলাকার ২৬৫ নম্বর বুথে।
এরপর ফের উত্তেজনা ছড়ায় শীতলকুচিতে, শীতলকুচির পাঠানটুলিতে চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয় আনন্দ বর্মণ নামে ওই তরুণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস লাঠিচার্জ করে। রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করে দ্রুত রিপোর্ট তলব করে কমিশন।