খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে কলকাতার ছোট ছোট ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায়ের নতুন প্রতারণা চক্রের হদিশ পেলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। দিল্লি থেকে দুইজন বিদেশি নাগরিক সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিধাননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১ তারিখে রাজারহাট কলিপার্কের বাসিন্দা ছোট শাড়ি ব্যবসায়ী শালিনী রায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে থেরেসা দেব অঙ্গি নামের একজন বিদেশি মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় হয়। তারপর সেই মহিলা তাকে কিছু ভারতীয় শাড়ির ছবি পাঠাতে বলে। শালিনী দেবী সেই ছবিগুলো পাঠালে ওই বিদেশীনি প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় শাড়ি কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বিদেশীনী এপ্রিল মাসে শালিনী দেবীকে একটি উপহার পাঠায় এবং বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য উপহারের ছবি এবং ট্রেকিং আইডিও পাঠান।
তার কিছুদিন পরেই শালিনী দেবীর কাছে কাস্টম হাউস এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়ে এক মহিলা ফোন করে উপহারের কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের জন্য ২৭ হাজার ৫০০ টাকা দিতে বলেন। সেই অনুযায়ী একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে কাস্টম হাউস এজেন্টকে টাকা পাঠায় অভিযোগকারিনী এবং মেলের মারফত রিসিপ্টও পাঠায়।তারপর আবার তাকে কাস্টম ক্লিয়ারেন্সের নাম করে টাকা চাওয়া হলে সন্দেহ হয় শালিনী দেবীর।তখন তিনি বিধাননগর পুলিশের দারস্থ হন।
শালিনী দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করলে এই ধরনের প্রচুর সংখ্যক প্রতারকের হদিশ পায় বিধাননগরের সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।তারপরে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে করে দিল্লিতে হানা দেয় পুলিশ।
সেখান থেকে মণিপুরের বাসিন্দা অনিতা , থৈমাওজাম শেইতাবালা দেবী , অন্যেকপোয়ান্নে লেকভিন , দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা কেনেথ জিম এবং ক্যামেরনের বাসিন্দা নেলসন নামের এই ৫ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাদেরকে দিল্লি আদালত থেকে ৫ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা নিয়ে আসা হয় এবং আজ বিধাননগর আদালতে তাদের তোলা হবে এবং সাতদিনের হেফাজতের আবেদনও করা হবে।তবে এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।