খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: দুর্গাপুরে পরিবহণ অফিসে দুষ্কৃতী তান্ডব। অভিযোগের তীর তৃণমূল যুব নেতা ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী সহ ৪ জন। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। পাল্টা বেআইনি কারবারের দখলদারি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে তোপ বিজেপির। বেআইনি বালি ঘাট, লোহা কারবার, স্ল্যাগ বোল্ডার দখলের লড়াই নিয়ে দুর্গাপুরের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের মায়াবাজার ও ওয়ারিয়া এলাকা সবসময়েই উত্তপ্ত থাকে।
বুধবার রাতে ওয়ারিয়া স্টেশনের কাছে বিজয়নগর এলাকায় একটি পরিবহণ অফিসের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই পরিবহন অফিসে ভেঙে দেওয়া হয় সিসিটিভি। বাথরুম, অফিসের ভেতর চলে ব্যাপক তান্ডব। অভিযোগ, জনা কয়েক দুষ্কৃতী ইমরান খান নামের স্থানীয় এক তৃণমূলের যুব কর্মীর নেতৃত্বে এই তাণ্ডব চলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ বাহিনী। মায়াবাজারের সামনে দুটি দোকানেও ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে।
যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি এলাকার যুব তৃণমূল নেতা ইমরান খানের। তাঁর পাল্টা দাবি, “ এলাকায় বেআইনি কাজ কারবারের সাথে যারা যুক্ত তাদের লোকজনই এই হামলার ঘটনায় জড়িত। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমার নামে বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।” দুর্গাপুর নগর নিগম ভোটের আগে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় রাজনীতির রংও লেগেছে। দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ইয়ের অভিযোগ, “সামনেই দুর্গাপুরের পুরভোট।
তৃণমূল বেআইনি লোহা কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই তৈরী করবে বিজেপি।” যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসন দাশু বলেন, “ওই সব দুষ্কৃতীরা এখন বিজেপির সম্পদ। ওরা আমাদের কেউ নয়।” এই ঘটনায় তৃণমূল কর্মী দীপক চৌধুরী-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত ধৃতদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।