খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন বিধানসভার অন্তর্গত মোহনপুর ব্লকের এক নম্বর সাউটিয়া অঞ্চলের পাসবেলি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বিজেপি কর্মী ঝাড়েশ্বর জানা।
তবে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মোহনপুর থানার পুলিশ আধিকারিক সহ জেলা পুলিশ আধিকারিকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,মোহনপুর ব্লকের এক নম্বর সাউটিয়া অঞ্চলের পাসবেলি গ্রামে ঝাড়েশ্বর জানা নামে এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল বাড়ির ছাউনি উড়ে যায়। এমনকি বাড়ির থাকা আসবাবপত্র চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে।
এদিকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মধ্যরাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাড়ির ভিতর থেকে ছুটে আসে সবাই তারপরেই এলাকাবাসীদের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।
পরবর্তীতে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মোহনপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তারপর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছে বিজেপি কর্মী ঝাড়েশ্বর জানা।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এ প্রসঙ্গে মোহনপুর পূর্ব মন্ডলের সম্পাদক গণেশ জানা বলেন, এই সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত তৃণমূল। বিভিন্ন ভাবে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে
কিন্তু প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এই সংস্কৃতির সঙ্গে বিজেপি কখনো যুক্ত নয়। তৃণমূল চক্রান্ত করে এসব করেছে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বদের অভিযোগ এলাকার সন্ত্রাসী করার উদ্দেশ্যে বাড়িতে বোমা মজুদ করে রেখেছিল বিজেপি কর্মী। এ বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা পিংলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, প্রতিটা বিজেপি কর্মী দুষ্কৃতী মনোভাবপন্ন।
এরা সব সময় নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে তৃণমূলের নামে দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। যেহেতু বিস্ফোরণ হয়ে গেছে তাই এরা বিস্ফোরণের ঘটনাটিকে চাপা দিতে পারছে না। তাই তৃণমূলের নামে দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
অনেকদিন ধরেই বিজেপি কর্মীরা ওই এলাকাগুলোতে বোমা মজুদ করে রেখেছিল। যেহেতু ওটা উড়িষ্যা ঘেষা এলাকা। সেই জন্য ওরা ওখান থেকে বোমা গোলাবারুদ এনে অনেকদিন ধরে মজুদ করে রেখেছিল।
২০১৯ সালের পর ওই জায়গাগুলোতে বিজেপি কর্মীরা আমাদের তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙ্গে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এখন আমরা আস্তে আস্তে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে ওই এলাকায়। আবার এরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা বারুদ মজুদ করে আক্রমণ করার ছক কষেছিল।