খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: একচিলতে একটি ঘর,স্যাঁতস্যাঁতে মেঝে চলছে খুদেদের পড়াশোনা। পাশেই অস্বাস্থ্য পরিবেশে ভাঙ্গা রান্নাঘরে ফুটছে খিচুড়ি। শিশুদের পড়াশোনা করানো ও পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ভুগছে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে।
এমনই চিত্র দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের দশকগ্রাম অঞ্চলের একাধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। দেখা যাচ্ছে সবং ব্লকের দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হরেকৃষ্ণ বুথের এলাকার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শুরু করে সতীশচন্দ্র বুথের মুসলিম পল্লীর এলাকার অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে নেই রান্নাঘর।
যেটুকুই রয়েছে তারমধ্যে কারও নেই উপরের ছাউনি। কারো বা একেবারেই ভেঙে পড়েছে রান্নাঘর। আর সেই ভাঙাচোরা রান্না ঘরেই চলছে শিশুদের খিচুড়ি রান্না। পাশেই পড়ে রয়েছে পচা আবর্জনা এমনকি শৌচালয় রয়েছে গা ঘেঁষে।
এমনই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কি সম্ভব শিশুদের রান্না? এই নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের অভিযোগ,দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উক্ত এলাকাগুলির অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না ঘর ভেঙে পড়ে রয়েছে।
ভেঙে পড়া রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাচ্চাদের খিচুড়ি রান্না করছেন কেন্দ্রের দিদিমণিরা। যা শিশুদের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাদের আরো অভিযোগ”, স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র গুলোর রান্নাঘর ঠিক করা হয়নি।
এদিকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা কথা স্বীকার করেছেন মুসলিম পল্লী এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সানাউল মীর। তিনি বলেন,অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই সত্যিই আমাদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্নাঘর নেই। তাও যে ভাঙ্গা রান্নাঘরটি রয়েছে উপরের চালি ভেঙে পড়েছে।
সামনে পচা আবর্জনা পড়ে রয়েছে। অস্বাস্থ্য পরিবেশে খিচুড়ি রান্না করছেন। এই নিয়ে বারংবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি।
অন্যদিকে সবং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রধান অনিল সাঁতরা বলেন,কোন জায়গায় অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। যদি থেকে থাকে তাহলে ওই জায়গায় যারা রয়েছেন। তারা প্রশাসনিক সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং লিখিত অভিযোগ করলে সবকিছু হয়ে যাবে,হয়তো একটু দেরি হবে।
এ ব্যাপারে সিডিপিও অরুণাভ মাইতি বলেন,এই ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না আমাকে খোঁজ নিতে হবে। তারপরে আমি বিডিওর সঙ্গে কথা বলে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।