খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: সোমবার রাতে খড়গপুর শহরে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়ে গেলেন। ঘটনার কিনারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ করতে পারেনি। শুধু তাই নয় ঘটনাস্থলে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় পুলিশকে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে আততায়ীদের চিহ্নিত করার কাজে।
এই আবহে এবারে খড়গপুর পুরসভা তৎপর হয়েছে শহরে অকেজো হয়ে যাওয়া সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিকে সচল করতে। তারজন্য পুরসভার পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে এই টাকায় শহরের বিভিন্ন স্থানে অচল হয়ে থাকা ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তারজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে পুরসভা।
বুধবার খড়গপুর পুরসভার বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেই সভায় পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে উন্নয়নের জন্য মোট ১ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তারমধ্যে এ ক্যাটাগরির ২২টি ওয়ার্ডের জন্য ৫ লক্ষ টাকা। বি ক্যাটাগরির ৪টি ওয়ার্ডের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ও সি ক্যাটাগরির ৯টি ওয়ার্ডের জন্য ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সি ক্যাটাগরির নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে রেল এলাকার আটটি ওয়ার্ড রয়েছে।
এছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে পুরসভা জঞ্জাল, আলো,পানীয় জল সরবরাহ দফতরের জন্য পৃথকভাবে দশ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করেছে। এই ব্যাপারে খড়গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেছেন ” শহরে বিভিন্ন স্থানে ৩২ টি অচল সিসিটিভি ক্যামেরা নতুন করে লাগানোর জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এগুলি বৃষ্টি সহ নানা কারনে খারাপ হয়ে গিয়েছে।” তবে এরসঙ্গে বুধবারের খুনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানালেন। আর শহরের বাকি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর দায়িত্ব পুলিশের বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত সম্প্রতি মেদিনীপুর শহরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়গপুর শহরের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গোটা খড়গপুর শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন।
যদিও এখনও পর্যন্ত শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলার কাজ এক কদমও এগোয় নি বলে অভিযোগ। যদিও এই ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।