খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: চড়াম চড়াম বিসর্জন বাজনায় উত্তাল হলো জেলার ৩৭টি স্থান। ধরা পড়েছে চুনাপুঁটি, বেশী খেয়েছে হাওয়াই চটি। জালিয়াতির শিরোমনি নবান্নর রানীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবীতে উত্তাল হলো ছাত্র যুব সমাজ সহ সমাজের সাধারণ মানুষ।
শ্লোগানে মুখরিত মিছিল থেকে আয়াজ উঠলো চিটফান্ডের কোটী কোটী সব খেয়েছে সারদা রানী। কয়লা থেকে গরু, বালি থেকে মোরাম লুঠের রানী মুখে বলে মা মাটি আসলে লুঠেছে কোটী কোটী। কান ধরে জেলে ভরে শুধু সার্কাস নয় এবার নবান্নর রানী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে কাল বিলম্ব না করে গ্রেপ্তার সহ বেআইনি পথে লুঠের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জরালো দাবী ওঠে।
জেলা শহরে এস এফ আই ও ডি ওয়াই এফ আই এর ঢোল পিটিয়ে গুড় বাতাসা বিলি করে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সিপিআইএর উদ্যোগে জেলার ঘাটাল, দাসপুর, সোনাখালি, কলোড়া, গোপীগঞ্জ, ডেবরা, বালিচক, সবং, মোহাড়, তেমাথানি, জলচক, পিংলা, শালবনী, চন্দ্রকোনারোড, গড়বেতা, ক্ষীরপাই, রামজীবনপুর, নারায়মগড়, বেলদা, ধনেশ্বরপুর, জাহালদা, গোয়ালতোড়, পীড়াকাটা, রাধামোহনপুর, মাদপুর, গোপীনাথপুর সহ জেলার ৩৭টি স্থানে বিসর্জনের চড়াম চড়াম ঢাকের বোল তুলে গুড় বাডাসা বিতরন করেই চলে বিক্ষোভ মিছিল। দাবী ওঠে আর সেটিং এর রাজনীতি এই বাংলার মানুষ এবার অচল করে দেবে।
ঝাড়গ্রাম শহর সহ বনাঞ্চলের মানুষও মেতে উঠলেন বিসর্জন বাজনা বাজিয়ে। গরু চোর কয়লা চোর এর এবার জেলে। মাথা কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবী। এই চোর জুয়োচ্চোর জালিয়াতির সরকার আর নেই দরকার। গরীব মারা সরকার, ফড়েদের দালাল সরকার, বনভূমি ও জলাভূমি র অধিকার কেড়ে নেওয়া সরকার আর নেই দরকার।জঙ্গলমহলে ৩৭২ জন কৃষক ক্ষেতমজুর গরীব মানুষের রক্তের হোলি খেলে ক্ষমতায় এসে লুঠ করেছো কোটী কোটী, চাকরি বিক্রির জালিয়াতি করে স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছো হাজার হাজার যুবকের। এই ঠকবাজ সরকার আর নেই দরকার শ্লোগান তুলে ঝাড়গ্রাম শহর সহ শিলদা, গোপীবল্লবপুর, জাম্বনীতেও বিসর্জনের বাজনা বাজিয়ে হলো উত্তাল বিক্ষোভ মিছিল।