Saturday, March 25, 2023
Homeজেলাঝাড়গ্রামহাতির তাণ্ডবে মৃত ১,ঝাড়গ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর বনাঞ্চল এলাকায় একাধিক বাড়ি ভাঙচুর
Advertisement

হাতির তাণ্ডবে মৃত ১,ঝাড়গ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর বনাঞ্চল এলাকায় একাধিক বাড়ি ভাঙচুর

Advertisement

খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: হাতির তান্ডবে সাত সকালে মৃত্যু হলো আবারও এক ব্যাক্তির। কাজ নেই, জঙ্গলের পাতা, শুকনো ডাল পালা সংগ্রহ করতে গিয়ে জঙ্গল রাস্তায় হাতির আক্রমণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক ব্যাক্তির। একশ দিনের কাজ নেই, বকেয়া মজুরী নেই। জঙ্গলের রসদ সংগ্রহ করেই দিন চলে এমন পরিবার গুলি বাধ্য হয় জঙ্গলে যেতে। হাতির পালের এমন তান্ডবে বেশীর ভাগ দিনই হাঁড়ি চড়ছে না এমন দিন মজুরী করে সংসার চালানো পরিবার গুলির।

এই নিয়ে গত ২৪শে আগষ্ট থেকে আজ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ আগষ্ট ঝাড়গ্রাম শহর সহ শহর সংলগ্ন তিন মৌজায় হাতির তান্ডবে দুজনের মৃত্যু সহ আট জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে তিন জন সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।  এরপরও টনক নড়েনি প্রসাশনের ও বনবিভাগের। এরপর বিনপুর ও জাম্বনীতে হাতির আক্রমণে আরোও দুজনের মৃত্যু হয়। এর সংগে লোকালয়ে হাতির তান্ডবে আই সি ডি এস কেন্দ্র সহ গরীব মানুষের ঘর ভেঙে চাল ধান লুঠ এমন ঘটনা একাধিক।  সবজি সহ শশা, করলা কুমড়ো এমন চাষের জমিতে হাতির পালের তান্ডবে শত শত কৃষক আজ সর্বশান্ত।  বনাঞ্চল জুড়ে হাতির তান্ডবে কৃষক সর্বশান্ত সহ জঙ্গলের  রসদের উপর নির্ভর করে দিনপাত করেন এমন ক্ষেতমজুর পরিবার গুলির প্রতিদিন হাঁড়ি চড়ছে না রসদের অভাবে।

- Advertisement -
- Advertisement -

জঙ্গলের পাতা ও শুকনো ডালপালা জোগাড় করতে গিয়ে বুধবার সাতসকালে  ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের অন্তর্গত মানিকপাড়া রেঞ্জের রমরমা বিটের জামব্যাদা গ্রামে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুনির্মল পাল। বয়স আনুমানিক ৪৫। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের মৌপাল সংলগ্ন ভাঙাবাঁধ গ্রামে। তবে, তিনি ঝাড়গ্রামের জামবেদ্যা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন বলে জানা গেছে। 

ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর দুই জেলার বনাঞ্চল এলাকায় একের পর এক লোকালয় ও চাষের জমিতে হাতির তান্ডব বিরামহীন ভাবে চলছে। একদিকে বনদপ্তরের বীট ও রেঞ্জ দপ্তর গুলি চলছে দুই তিন জন কর্মী নিয়ে। এক এক জন রেঞ্জ অফিসারকে চার থেকে সাত পর্যন্ত বীট দপ্তরের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। শূন্যপদে নিয়োগ না হওয়ায় কর্মী সংকোটে হাতির গতিবিধি নজর সহ এলাকাবাসীকে সতর্ক করা কিছুই হচ্ছেনা। হাতি তাড়ানোর বাজেট বরাদ্দ না হওয়ায় হুলা পার্টির কাজও নেই। এর এই কারনেই লোকালয় পর্যন্ত হাতির তান্ডব চলছে। দুই জেলা জুড়ে ১৬০- ১৭০ টি হাতির পাল ১৫-২০ টি দলে ভাগ হয়ে একের পর এক লোকালয়ে তান্ডব চালিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙে ধান চাল লুঠ করছে।

গত দুদিনে গোয়ালতোড় ব্লকের পেড়ুয়াবাঁধ, ভাদুরডাঙ্গা,কালাবতী এমন তিন মৌজায় হাতির তান্ডবে ১২টি আদিবাসী গরীব পরিবারের ঘর ভেঙে মজুদ রাখা ধান চাল লুঠ করে হাতির পাল। মঙ্গল সরেন, সুকুমার আড়ী, জিতেন টুডু, স্বপন সরেন এমন ১২টি পরিবারের এক মাসের মাসোহারা চাল তুলে নিয়ে চলে যায় হাতির দল।  এই বর্ষার সময়ে ভাঙা ঘরে পরিবার নিয়ে এবং খাদ্য সংকোটে অসহায় অবস্থায় থাকলেও বুধবার বিকাল পর্যন্ত বনদপ্তর, জনপ্রতিনিধি বা প্রসাশনের কোনো ব্যাক্তিই পরিদর্শনে আসেন নি। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পায়নি যেমন, ক্ষতিপূরণ কবে পাবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। 

 

Advertisement

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

error: Content is protected !!