খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: বিষাক্ত চোলাই মদ পানে মৃত্যু এই রাজ্যে নতুন কোনও ঘটনা নয়। এই মদ পানে শতাধীক মানুষের মূত্যু হয়েছিল। এত মানুষের মৃত্যু নিয়ে রাজ্য জুড়ে হইচই হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে আজও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায় চোলাই মদের কারবার বন্ধ করতে পারেনি।
সবং ব্লকের দশগ্রাম অঞ্চলের খাজুরী মৌজার দীঘিপাড়া,ডমপাতা,হরেকৃষ্ণ মৌজার সুকান্তপল্লী এলাকার লোধাপল্লী,কোলন্দা। দেভোগ অঞ্চলের লক্ষনচক। সবং অঞ্চলের খাগড়াগেড়িয়া,সারতা অঞ্চলের বনাঁই,বিরকোটা। দাঁদরা অঞ্চলের চাঁদকুঁড়ি গ্রামের চোলাই কারবারিরা এখনও দিনের আলোয় দেদার চোলাই মদ বিক্রি করছে। কার্যত সবং এখন হয়ে উঠেছে চোলাই মদ তৈরির নিরাপদ শিল্প তালুক।
বিভিন্ন রাসায়নিক সহযোগে তৈরি হচ্ছে চোলাই মদ। এই মদ পানের কারণে মৃত্যু পুনরাবৃত্তি ঘটলে অবাক হবার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছেন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের দাবি,সবং ব্লকের একাধিক গ্রামে চলছে চোলাই মদের করবার। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মদের ব্যবসা চালাচ্ছেন। বেলদা,নারায়ণগড় সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে ভোরবেলা মারুতি কিংবা মোটরবাইকে করে নিয়ে মদ আনছে ব্যবসায়ীরা।
সেই মদ বিক্রি হচ্ছে গ্রামের অলিতে গলিতে। অভিযোগ,প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে মদ। আর এই মদ বেশিরভাগ পান করছে গরীব খেটে খাওয়া মানুষেরা। এর ফলে পারিবারিক শান্তি থেকে শুরু করে আর্থিক সংকটে পড়ছে পরিবার গুলি। আরো জানা গিয়েছে,দশগ্রাম অঞ্চলের দীঘিপাড়া,ডমপাতা,হরেকৃষ্ণ মৌজায় এই মদ পানের জন্য বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দুইজনের চিকিৎসা চলছে। কেউ কেউ আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর জন্য এলাকার পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। কোনও কোনও সময়ে পুলিশ ও আবগারী দপ্তর ওই জায়গায় গুলিতে হানা দেয়। তাঁরা চোলাই কারবারীদের কাউকে কাউকে তুলে নিয়ে যায়। আবার তাঁরা ছাড়াও পেয়ে যায়। আমরা চাই প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিয়ে চোলাই মদ বন্ধ করুক।”