নিজস্ব সংবাদদাতা: দিদির দূত হিসাবে দলবিরোধীদের চা চক্রে যাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়ালেন মেদিনীপুরের তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া। দলের একাংশ কর্মীদের বিক্ষোভে এলাকা ছাড়তে হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পানপাড়া এলাকায় দিদির দূত হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পুরপ্রধান সৌমেন খান।
সেখানে একটি চা দোকানের সামনে তিনি স্থানীয় মানুষজনের কথাবার্তা বলেন। অভিযোগ সেই চা দোকানে উপস্থিত ছিলেন সাসপেনশনে থাকা প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর এরশাদ আলি সহ একদল পুরনো কর্মী। বেশ কিছুক্ষণ চা চক্র চলে। আর সেইসময় সেখানে উপস্থিত হন একদল স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। তাঁরা বিক্ষোভ শ্লোগান শুরু করেন। তারপরেই পরিস্থিতি বুঝে দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যান তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া। জানা গিয়েছে বিক্ষোভ দেখানো কর্মীরা সকলেই বর্তমান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেনের অনুগামী।
এই ব্যাপারে কাউন্সিলর মোজাম্মেল হোসেন বলেন ” আমি এখানকার সক্রিয় তৃণমূলের কর্মী, কাউন্সিলর ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধি। আমার এখানে দিদি এলেন। আমরাই জানতে পারলাম না। আর তিনি এসে দলবিরোধী কাজে সাসপেন্ড হওয়া লোকদের সাথে চা চক্র সারলেন। তাই কর্মীরা মেনে নিতে পারেন নি। বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমি দলের শীর্ষ নেতাদের জানিয়েছি। ” যদিও মেদিনীপুরের পুরপ্রধান সৌমেন খান বলেছেন ” দিদি কোনও দলবিরোধীদের সাথে আড্ডা দেন নি। উনি অসুস্থ একজনের সাথে কথা বলতে গিয়েছিলেন।
সেই ভিড়ে কারা এসেছিলেন তা তিনি দেখেন নি।” আবার দলবিরোধী কাজে সাসপেন্ড হয়ে থাকা প্রাক্তন উপপুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর এরশাদ আলি বললেন ” এলাকার মানুষের ক্ষোভ ছিল। আমরা সেই সমস্ত ক্ষুব্ধ মানুষজনদের নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম দিদিকে জানাবো বলে। তাই বিধায়ক পৌঁছানোর পর আমরা গিয়েছিলাম।”
এদিকে তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেছেন ” কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কথা বলে মেটানোর চেষ্টা করছি। তবে জুন মালিয়া যদি কোথাও গিয়ে থাকেন তা দলের নির্দেশ মেনেই গিয়েছেন। এতে কোনও সমস্যা হলে কথা বলে মিটিয়ে নেওয়া হবে।” তবে এই ব্যাপারে ব তারকা বিধায়ক জুন মালিয়ার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায় নি।