Tuesday, September 26, 2023
Homeজেলাপশ্চিম মেদিনীপুরSabang: দলের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ মেটাতে মানস ও অজিতকে দায়িত্ব দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়
Advertisement

Sabang: দলের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ মেটাতে মানস ও অজিতকে দায়িত্ব দিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়

Advertisement

খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: দলের আভ্যন্তরীন দ্বন্দ মেটানোর ভার দেওয়া হল মানস ও অজিতকে। এই দায়িত্ব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়ে মঙ্গলবার অভিষেক সবং ব্লকের দেভোগ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের তেমাথানী এলাকায় পল্লীশ্রী রাইস মিল মাঠে দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন।

সেখানেই তিনি এই দায়িত্ব দেন সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ও বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতিকে। এইদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার ১০ টি ব্লকের সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি সহ বিধায়করা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে অভিষেক প্রতিটি ব্লকের নেতাদের অভাব অভিযোগ মন দিয়ে শুনেছেন।

- Advertisement -
- Advertisement -

তারপরেই এই সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ব্লকে দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ মেটানোর দায়িত্ব দেন মানস ভুঁইয়া ও অজিত মাইতিকে। এইদিন বৈঠকে খড়গপুর দুই নম্বর ব্লকের সভাপতি নেতাকে সামনে পেয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল মূলত পিংলার বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা কো অর্ডিনেটর অজিত মাইতির বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ জানানোর সময় তৃষিত মাইতি রীতিমতো কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাঁর অভিযোগ ব্লকে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সভাপতি হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।

অথচ তিনি ২২ বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন। জানা গিয়েছে এই অভিযোগ শোনার পর অভিষেক বৈঠকে বিষয়টি মেটানোর জন্য মানস ভুঁইয়াকে দায়িত্ব দেন। তারসাথে এরকম হওয়া ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন। তারসাথে তিনি জোর দেন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উপর। তবে শুধু খড়গপুর দুই নম্বর ব্লক নয়। এই সাংগঠনিক জেলার ডেবরা থেকে শুরু করে কেশপুর সহ দাসপুর এক ও দুই নম্বর ব্লকের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ নিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে বেশ কিছু অভিযোগ শুনতে হয়েছে। জানা গিয়েছে তিনি এই বিভিন্ন ব্লকে দলের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ মেটানোর জন্য মানস ভুঁইয়া ও অজিত মাইতিকে দায়িত্ব দেন।

এদিকে জানা গিয়েছে সোমবার ডেবরায় তাঁর জনসভায় কাঙ্খিত জমায়েত না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি জমায়েত যে সংগঠিতভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে হয় নি সেটিরও তিনি উল্লেখ করেন। তারসাথে তিনি ডেবরার বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে পরামর্শ দিয়েছেন সকলকে নিয়ে চলার। ডেবরার প্রাক্তন বিধায়ক সেলিনা খাতুনকে নিয়ে বসে আলোচনা করার দায়িত্ব মানস ভুঁইয়া ও অজিত মাইতিকে দিয়েছেন। তবে ডেবরার প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা বর্তমানে ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ অলোক আচার্যের পৃথক কর্মসূচি নিয়ে নজর রাখা হচ্ছে বলে অভিষেক জানিয়েছেন।

তারসাথে তাঁর বিষয়ে দল সবটা নজর রাখছে ও সময়মতো পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কেশপুর ব্লকে মন্ত্রী শিউলি সাহাকে তিনি বলেছেন সবাইকে নিয়ে চলতে। বিশেষ করে ব্লকের দুই প্রাক্তন সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী ও সঞ্জয় পানকে নিয়ে আলোচনা করার কথা বলেছেন। যদিও সঞ্জয় পান সম্পর্কে তাঁকে বেশ কয়েকটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এইদিনের বৈঠকে অভিষেক ব্লক সভাপতি ও বিধায়কের মধ্যে বোঝাপড়া করে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে ব্লকে খারাপ ফল হবে সেই ব্লকের সভাপতি ও বিধায়ককে ছেড়ে কথা বলা হবে না। তিনি এইদিনের বৈঠকে ফের জোর দিয়েছেন বুথ সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির মধ্যে বোঝাপড়ার উপর।

পাশাপাশি এইদিন তিনি ফের জানিয়ে দিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে কেউ নির্দল প্রার্থী হতেই পারেন। কিন্তু তারপরে সেই নির্দল প্রার্থী জয়ী হলেও দলে আর ফিরিয়ে আনা হবে না। এদিকে এই ব্যাপারে সবংয়ের বিধায়ক তথা রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বললেন ” বৈঠকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দলের সকলকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন ভালো করে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে। আর কিছু ব্লকের সাংগঠনিক সমস্যা সমাধানের জন্য আমাকে ও অজিত মাইতিকে দায়িত্ব দিয়েছেন।” এদিকে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার মানস ভুঁইয়া দলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার কেশিয়াড়ি ব্লকের আভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য সবাইকে একটি বৈঠক করবেন। আর বাতিল হয়ে যাওয়া এই ব্লকের ভোট ৩ জুন হবে।

এদিকে এইদিনের বৈঠকের পর অভিষেক বন্দোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর পৌঁছান। সেই সময় দলের পক্ষ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়। পটাশপুর ও সবং সীমানা কেলেঘাই নদীর উপর দেহাটি সেতু পর্যন্ত এই শোভাযাত্রা সহকারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন মানস ভুঁইয়া সহ তৃণমূলের সবং ব্লক সভাপতি আবু কালাম বক্স সহ অনেকে।

Advertisement

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

error: Content is protected !!