খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল বিস্ফোরণকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে আড়াই লক্ষ টাকা অর্থ সাহায্য এবং পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের চাকরির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার এগরায় গিয়ে এমনটা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চেক দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের ছোটদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা থেকে আমাদের চোখ খুলে গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যে রিপোর্ট আসবে। অবৈধ বাজি কারখানায় কাজ করে কারও জীবন যেন নষ্ট না হয়।’
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়েছে শুধুমাত্র গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকারের ক্লাস্টার তৈরি হবে ফাঁকা জায়গায়। শব্দবাজি কারখানা অবৈধ। লোভে পড়ে অনেকে এই বাজি তৈরি করতে যান। তাতে প্রাণহানি হয়।’ এদিন হতাহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন আরও কারও চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কিনা। পাশাপাশি মমতার বক্তব্য, ‘মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি গড়েছি। বাংলার বর্ডার সিল করুন। ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যে অস্ত্র ঢোকে। ওডিশাতেও অস্ত্র যায়।’
সম্প্রতি, এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়। কিভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে ওই বেআইনি বাজি কারখনা চলছিল তা নিয়ে অনেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। ঘটনার দিনই তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়। যার বাজি কারখানায় এই বিস্ফোরণ হয় সেই ভানু বাগ জখম অবস্থায় ওডিশায় পালিয়ে যান। পরে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে পুলিশ ভানুর দুই সঙ্গী, তাঁর ছেলে এবং ভাইপোকে গ্রেপ্তার করেছে। এরই মধ্যে এগরা থানার আইসিকেও বদলি করা হয়।
এই ঘটনায় শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। আগেই নিহত এবং আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখান থেকে বেশ কয়েকটি দাবি তোলেন। যার মধ্যে রয়েছে এনআইএ তদন্ত করার দাবি। নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি ভানুকে তৃণমূলের নেতা বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।