খড়গপুর ২৪×৭ ডিজিটাল: এই সময়কালে দাঁড়িয়ে পণের জেরে আত্মহত্যার ঘটনায় হতবাক শহরবাসী। পণপ্রথা যে এখনও সামাজিকভাবে মান্যতা পাচ্ছে, এই ঘটনা যেন সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
কলকাতার পার্শ্ববর্তী এলাকার এই ঘটনায় তাজ্জব বনেছে অনেকে। বরানগরে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেবার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী এবং শ্বশুর।
একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও শহরে পণপ্রথার বলি হতে হল ২৬ বছর বয়সী মহিলাকে। ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগর থানার প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনে। পুলিশ সূত্রে খবর, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বরাহনগরে পাঠবাড়ি লেনের বাসিন্দা তাপস কয়ালের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা কয়ালের সঙ্গে বিয়ে হয় বরাহনগর প্রাণকৃষ্ণ সাহা লেনের অর্পণ কুণ্ডুর।
তাপস বাবুর অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে তার মেয়ের সঙ্গে অত্যাচার করত শ্বশুড়বাড়ির লোক। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়ি সকলেই তার মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। তা সহ্য না করতে পেরে সোমবার তার মেয়ে আত্মহত্যা করে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বরাহনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী অর্পণ কুন্ডু ও শ্বশুড় তাপস কুণ্ডুকে গ্রেফতার করেছে বরাহনগর থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।